হুজুরের কয়েকটা দোয়া

 ১৮৪। হযরত আব্দুর রহমান বিন আব্‌জা (রাঃ) বলেন, ‘যখন ভোর হতো রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলতেন— আমরা ভোরে উঠলাম ইসলামী স্বভাবের উপরে কলেমায়ে এখলাস (তৌহিদের বিশ্বাস) সহকারে, মুহাম্মদ (সাঃ) এর দ্বীনের উপরে এবং আমাদের পূর্বপুরুষ ইবরাহিমের মিল্লাতের উপর যিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’ (আহমদ, দারেমী)

১৮৫। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কষ্ট দুঃখের সময় এই কথা বলতেন- ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি মহান সহিষ্ণু, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বর এবং সম্মানীত আরশের প্রভু।’ (বোখারী, মুসলিম)

১৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ বিন সারজাস্ (রাঃ) বলেন- ‘যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কোন সফরে যেতেন, তখন ভ্রমণের কষ্ট, ফিরে আসার ক্ষতি ভালর পর মন্দ উৎপীড়িতের বদদোয়া এবং পরিবার-পরিজন ও মালের মন্দ দৃশ্য থেকে আল্লাহ’র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।’ (মুসলিম)

অনুবাদ : হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) বলেন—নবী (সাঃ) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন- হে আল্লাহ! তুমি নিরাপত্তা, ঈমান, সুস্থিতি ও ইসলামের সাথে আমাদের উপর একে উদিত কর। (হে চাঁদ !) তোমার ও আমার প্রভু একই। (তিরমিযী)

 অনুবাদ : হযরত আনাস (রাঃ) বলেন-নবী (সাঃ) বলতেন- হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে চিন্তা, শোক, দুর্বলতা, আলস্য, ভা কার্পণ্য, ঋণের বোঝা ও মানুষের জোর-জবরদস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।’- (বোখারী, মুসলিম)

১৮৭। হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) বলেন- ‘নবী (সাঃ) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন- “হে আল্লাহ! তুমি নিরাপত্তা, ঈমান, সুস্থিতি ও ইসলামের সাথে আমাদের উপর একে উদিত কর। (হে চাঁদ!) তোমার ও আমার প্রভু একই।’ (তিরমিযী)

১৮৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ‘নবী (সাঃ) বলতেন- ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে চিন্তা, শোক, দুর্বলতা, আলস্য, ভীরুতা, কার্পণ্য, ঋণের বোঝা ও মানুষের জোর-জবরদস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।’ (বোখারী, মুসলিম)

১৮৯। হযরত যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) বলেন- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলতেন- ‘হে আল্লাহ ! আমি তোমারই কাছে আশ্রয় কামনা করি দুর্বলতা, আলসা, কাপুরুষতা, বার্ধক্য এবং কবরের আযাবের থেকে। হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে তাকওয়া দান কর। তাকে পবিত্র কর তুমিই সর্ব শ্রেষ্ট পবিত্রতা দানকারী। তুমি তার অভিভাবক ও মালিক। হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি সেই জ্ঞান থেকে, যা উপকারী নয়, সেই হৃদয় থেকে যা (তোমার ভয়ে) সন্ত্রস্ত হয় না, সেই অন্তর থেকে যা তৃপ্তি লাভ করে না এবং সেই প্রর্থনা থেকে যা গৃহীত হয় না।’ (মুসলিম)

১৯০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলতেন- ‘হে আল্লাহ ! আমি তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি যা আমি করেছি তার ক্ষতি থেকে এবং যা আমি করিনি তার ক্ষতি থেকে।’ (মুসলিম)

Leave a Comment